নিজস্ব প্রতিনিধি: বান্দরবান বোমাং সার্কেল চীফ ভুমি ক্রয় বিক্রয় এর রেজিষ্টেশন নিয়ে জটিলতা চরমে । স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদ হিসেবে দেওয়া বোমাং সার্কেল চিফ (রাজা) সার্টিফিকেট (সনদ) প্রথা সরকারে নিকট বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা (বাঙ্গালী)রা বান্দরবান জেলায় কোন জমি ক্রয় করতে পারে না । বোমাং সার্কেলে “স্থায়ী বাসিন্দা” সনদ পত্র পাওয়ার আবেদন ফরম নং দেয়া থাকবে । বান্দরবান /রাঙামাটি বাংলায় /ইংরেজীতে মৌজা ,জমির মালিকের সাথে সর্ম্পক ,পাড়া ,বয়স,সম্প্রদায় ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ ১১টি শর্ত দেয়া থাকে । যা রাঙামাটির স্থায়ী বাসিন্দা কোন জমি ক্রেতা পক্ষে সম্ভব নয় । একই পাহাড়ে একই স্থায়ী বাসিন্দা দুই/তিন নীতি কেন ? বম সার্কেল,বোমাং সার্কেল ও চাকমা সার্কেল তিনটি পার্বত্য জেলায় স্থায়ী বাসিন্দার সনদ দিয়ে থাকে।বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থায়ী নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানেই কেবলমাত্র সংবিধানের মূল স্পিরিটের পরিপন্থী সার্কেল চিফ বা রাজার সনদ নেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে। এর ফলে যুগের পর যুগ এখানে বসবাসকারী বাঙালি নাগরিক এবং তাঁদের সন্তানরা সনদ নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগকারীরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে রাজার সার্টিফিকেট প্রথা না থাকলেও কার ইঙ্গিতে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটির একজন স্থায়ী বাসিন্দা বোমাং সার্কেলে ৩২১ নং রাইখালী মৌজা ৪৩১ নং খতিয়ানের’ ১০ শতক জমি ক্রয় করেন জামাল উদ্দীন চৌধুরী পী.ওয়াহেদ বকসু চৌধুরী সাংনারায়ণগীরি ,কাপ্তাই মিউট ৬১/৮৩-৮৪(৩২১) মামলার প্রেক্ষিতে তৎকালিন সহকারী কমিশনার এসএম ইসহাক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জমি ক্রয়ের সুপারিশ করেন।
৩২১ নং রাইখালী মৌজার মৃত মংক্যা হলা স্ত্রী শ্রীমতি মাসুইচিং সনাক্তক্রমে ৩/৪/৮৩ ইং কাপ্তাই ১ম প্রথম শ্রেণী হাকিম আদালতে শপথ বাক্য পাঠ করেন ।কিন্ত মৃত জামাল উদ্দীন চৌধুরী বান্দরবান বোমাং সার্কেলের স্থায়ী বাসিন্দার সনদ দাখিল করার পরও মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে .১৩ শতক একই খতিয়ানের ৪৩১ নং জমি অন্যর কাছে বিক্রি করে।
মাসুইচিং চৌধুরী ২২/৫/২০০১ সালে স্বাক্ষরিত এডভোকেট কল্যানমিত্র চৌধুরী সত্যায়িত হলফ নামা মুলে খোদেজা বেগম স্বামী: মৃত আবুল বশর নারায়ণগীরি মুখ ৩০ হাজার টাকায় ০.১৩ শতক জমি আবার বিক্রি করেন । যাহার খতিয়ান নং- ৪৩১ (অংশ) উক্ত জমির প্রথম ক্রেতা মৃত জামাল উদ্দীন চৌধুরী মৌজা হেডম্যান জেলা কানুনগোর অনুকুলে প্রতিবেদন ৩০/১০/১৯৮৩ সালে ও সুপারিশের প্রেক্ষিতে করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার স্বাক্ষর করেন ১২/১২/১৯৮৩ সালে। মরহুম জামাল উদ্দীন চৌধুরীর কর্মচারী মৃত আবুল বশর স্ত্রী খোদেজা বেগম কিভাবে বোমাং সার্কেল একই জমি দুইবার জনকে সনদ মুলে সুপারিশ করেন। বিক্রেতা মাসুইচিং একই জমি একই খতিয়ানের দুইজনের কাছে বিক্রি করে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করেছে ।